অর্থনীতি ৩য় পত্র সাজেশন ডিগ্রি ২য় বর্ষ (BA, BBS, BSS) ২০২৪

নতুন সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন


বিষয়ঃ অর্থনীতি তৃতীয় পত্র (সামষ্টিক অর্থনীতি: ১২২০১)

খ_বিভাগ

১। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উপায়সমূহ আলোচনা কর ।

মুদ্রাস্ফীতি বলতে দ্রব্যসামগ্রিক মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে অর্থের মূল্য বা অর্থের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাওয়াকে বুঝায়।অর্থনীতিতে ক্ষতিকর বলে বিভিন্ন উপায় বা পদ্ধতি অবলম্বন করে মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় ।মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উপায় বা পদ্ধতি সমূহঃ

  • আর্থিক পদ্ধতি
  • রাজস্ব পদ্ধতি
  • প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

আর্থিক পদ্ধতিঃ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এ পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি কার্যকর। আর্থিক নীতির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থের যোগান নিয়ন্ত্রণ করে। ঘাটতি অর্থসংস্থান প্রতিরোধ করে, তথা অতিরিক্ত নোট প্রচলন বন্ধ করে অর্থের যোগান নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণদান ক্ষমতা সংকুচিত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুটি পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যাংকের ঋণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। যথাঃ

  • পরিমাণগত ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
  • গুণগত ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

রাজস্ব পদ্ধতিঃ ব্যয়ের আধিক্য থেকেই যেহেতু মুদ্রাস্ফীতি হয়ে থাকে তাই ব্যয়কে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি রোধ করা যায়। এটি হলো ফিসক্যাল পদ্ধতির মূল কথা। নিম্নে এ পদ্ধতিতে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলো আলোচনা করা হলোঃ

  • সরকারি ব্যায় হ্রাস
  • করের পরিমাণ বৃদ্ধি
  • সরকার কর্তৃক ঋণ গ্রহণ
  • বাধ্যতামূলক সঞ্চয়ে আগ্রহ প্রদান

প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিঃ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আর্থিক ও ফিসক্যাল পদ্ধতি ছাড়াও আরো কতগুলো পদ্ধতি রয়েছে যা নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ

  • উৎপাদন বৃদ্ধি
  • মজুরি নিয়ন্ত্রণ
  • মুদ্রা বাতিলকরন
  • সম্পদ স্থানান্তর
  • পটকা কারবার নিয়ন্ত্রণ
  • আমদানি বৃদ্ধি
  • দামের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ
  • আয় ও আমানতের অংশ সরকারের গ্রহণ
  • রেশনিং ব্যবস্থা

পরিশেষে বলা যায়, অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি নিঃসন্দেহে একটি জটিল ও গুরুতর সমস্যা। কোন একটি বিশেষ পদ্ধতির সাহায্যে তা দূর করা সম্ভব নয়। সরকার কর্তৃক আর্থিক নীতি ও রাজস্ব নীতির সমন্বয় সাধন, উপযুক্ত সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

নতুন সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

গ_বিভাগ

১। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আলোচনা কর।

ভূমিকাঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্য ব্যংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রাখে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণদান নীতির পরিমাণগত ও গুণগত পরিবর্তন সাধনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক যেসব বিধি নিষেধ আরোপিত হয় ও ব্যবস্থা গৃহীত হয়, তাদেরকে ঋণ নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি বলে ।

→ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি : কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুইটি পদ্ধতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যেমন-

  • পরিমাণ গত ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
  • গুণগত ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ।

(ক) পরিমাণগত ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি : যে সকল পদ্ধতির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক কর্তৃক সৃষ্ট ঋণের পরিমাণের সংকোচন ও সম্প্রসারণ ঘটায় তাকে পরিমাণগত ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বলে। পরিমাণগত ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির তিনটি উপকরণ বা নীতি রয়েছে। সেগুলো হলো :

১। ব্যাংক হারের পরিবর্তন নীতি : কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর দ্বারা ঋণ দেয়ার সময় সুদের হার বৃদ্ধি করবে যাতে করে সহজে সুদে জনসাধারণকে বেশি ঋণ না দিতে পারে। ব্যাংক হার বৃদ্ধি করলে দেশের ঋণের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং ব্যাংক হার হ্রাস করা হলে ঋণের যোগান বৃদ্ধি পায়।

২। খোলাবাজার নীতি : কেন্দ্রীয় ব্যাংক খোলাবাজারে ঋণপত্র বিক্রয় করে জনসাধারণের হাত থেকে নগদ টাকা তুলে নেয়। নগদ টাকা হ্রাস পাওয়ার ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর | ঋণদানের ক্ষমতা হ্রাস পায়। আবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অণের প্রসার ঘটানো প্রয়োজন হলে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক খোলাবাজারে ঋণপত্র ক্রয় করে। সে অবস্থानাগ | ব্যাংকের আমানত বেড়ে যায়। ফলে ঋণের পরিমাণ বাড়ে।

৩. নগদ জমার হার পরিবর্তন নীতি : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকট বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দিষ্ট হারে আমানতের একটি অংশ জমা রাখতে হয়, তাকে নগদ জমার হার বলে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণদানের পরিমাণ কমাতে চায়, তখন নগদ জমার হার বাড়িয়ে দেয়। আবার যখন ঋণের প্রসার ঘটানোর প্রয়োজন হয় তখন নগদ জমার হার কমিয়ে দেয়।

পরিমাণগত ঋণ নিয়ন্ত্রণের উল্লেখিত তিনটি পদ্ধতিকে প্রত্যক্ষ বা বাধ্যতামূলক ক্ষণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বলে। অর্থাৎ, এ তিনটি পদ্ধতির ভরা কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি ঋণদান কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করে।

খ. গুণগত ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি : কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেসব পদ্ধতির দ্বারা অর্থনীতির বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এবং বিশেষ উদ্দেশ্যে ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে তাদেরকে গুণগত ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বলে। নৈতিক চাপ ও প্রচারের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ দানের উপর প্রভাব বিস্তার করে। নিম্নে গুণগত পদ্ধতিগুলো মালোচনা করা হলো :

১. ঋণের বরাদ্ধকরণ নীতি : বাণিজ্যিক ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত ঋণের উদ্দেশ্যসমূহ পরিমিত ও নিয়ন্ত্রণ করাকে ঋণের বরাদ্দকরণ নীতি বলা হয়। এ নীতির প্রধান লক্ষ্য হলো বাণিজ্যিক ব্যাংকের মোট অগ্রিম ও ঋণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ প্রদানের সীমা নির্ধারণ করে দেয়।

২. ভোগকারীর ঋণ নিয়ন্ত্রণ : বর্তমানে অনেক দেশে স্থায়ী ভোগ্যপণ্য কেনার সময় কিস্তিতে দাম পরিশোধ করার সুযোগ দেওয়া হয়। কিস্তির সংখ্যা বেশি হলে জনগণ বেশি জিনিস কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করে। ফলে ঋণের চাহিদা বাড়বে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কিস্তির সংখ্যা কমিয়ে এবং দাম পরিশোধের সময় নাক্ষেপ করে দিলে ভোগ্যপণ্য ক্রয়ের জন্য ঋণের চাহিদা কমবে।

৩. প্রত্যক্ষ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা: কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের স্বর্ণদান নীতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ নীতির সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ হলে অথবা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি অনুসরণ না করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের বাট্টাকরাণ সুবিধা প্রত্যাহার করে অথবা বৈষম্যমূলক ব্যাংক হার আরোপ করে। ফলে ব্যাংকের ঋণদান ক্ষমতা সংকুচিত হয়। এ ব্যবস্থাকে প্রত্যক্ষ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বলে ।

৪. জামানতি ঋণের নগদাংশ হ্রাস-বৃদ্ধি : অনেক সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জামানতি ঋণের একটা নির্দিষ্ট অংশ নগদ কেটে রেখে খাণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এ পদ্ধতির দ্বারা কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফটকা কারবারদের বিভিন্ন প্রকার শেয়ার ও সিকিউরিটিজ জামানতের বিনিময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রদত্ত ঋণের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ।

৫. নৈতিক প্ররোচনা : বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যাংক হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করে। কাজেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন তাদের বুঝানোর চেষ্টা করে যে, এখন ঋণের পরিমাণ বাড়ানো বা কমানো উচিত, তখন তারা সেই অনুরোধ রক্ষা করে কাজ করে।

৬. নির্বাচিত ক্ষেত্রে ঋণ নিয়ন্ত্রণ : একটি দেশে অনুৎপাদনশীল ও অপ্রয়োজনীয় খাত থেকে উৎপাদনশীল খাতে মূলধন তথা ঋণের স্থানান্তর প্রয়োজন হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অপ্রয়োজনীয় ও প্রয়োজনীয় খাত চিহ্নিত করে বাণিজ্যিক ব্যাংককে নির্দেশ দিতে পারে কোনো খাতে ঋণের প্রসার এবং কোনো খাতে ঋণের সংকোচন প্রয়োজন।

৭. প্রচারণামূলক পদ্ধতি : কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনেক সময় ঋণের যোগান ও ঋণ নিয়ন্ত্রণ বিষয় সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার জন্য প্রচারের আশ্রয় গ্রহণ করে। এর ফলে ঋণের যোগান নিয়ন্ত্রিত হয় ।

উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সমগ্র ব্যাংকের অবিভাবক হিসেবে উপরিউক্ত ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণের মাধ্যমে ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, যা একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

ক_বিভাগ (অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন)


১। পূর্ণরূপ লিখ-NSIRU, IRR, APC, MPC, GNP, MEC.

২। ব্যাংক হার কী?
উঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহকে যে হারে ঋণ
প্রদান করে তাকে বলা হয় ব্যাংক হার।

৩। আন্তঃ আয় হার (IRR) কী?
উঃ কোন প্রকল্পে বিনিয়োগ করে তা থেকে ভবিষ্যতে যে আয় প্রত্যাশা করা হয় তাই হলো IRR বা মূলধনের আন্তঃ আয় হার।

৪। ব্যয়যোগ্য আয় কী?
উঃ ব্যক্তিগত আয় থেকে কর এবং কর ছাড়া অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বাদ দিলে অবশিষ্ট যা থাকে তাকে ব্যয়যোগ্য আয় বলে।

৫। কার্যকর চাহিদা কাকে বলে?
উঃ একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দেশের নিয়োগ থেকে প্রত্যাশিত উৎপন্ন মূল্য যখন উপকরণ নিয়োগ বাবদ ব্যয়ের সমান হয় তখন দেশে যে পরিমাণ চাহিদার সৃষ্টি হয় তাকে কার্যকর চাহিদা বলে।

৬। ক্যামব্রিজ সমীকরণটি লিখ।
উঃ অর্থের পরিমাণ তত্ত্বের ক্যাম্ব্রিজ সমীকরণটি M = KPT।

৭। রাজস্বনীতির দুটি হাতিয়ার লিখ।
উঃ (ক) সরকারি ব্যয় ও (খ) কর রাজস্ব।

৮। স্বাভাবিক বেকারত্ব কাকে বলে?
উঃ স্বাভাবিক বেকারত্বের হার বা NAIRU হলো বেকারত্বের সেই স্বাভাবিক হার যা মুদ্রাস্ফীতির স্থিতিশীল হারের সাথে সংগতিপূর্ণ।

৯। বিনিয়োগ কী?
উঃ নতুন সাজ-সরঞ্জাম অর্থাৎ যন্ত্রপাতি ক্রয়, নির্মাণ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যয়, বাড়তি মজুত ক্রয় ইত্যাদিকে বিনিয়োগ বলে।

১০। ওকান বিধি কী?
উঃ প্রকৃত জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি ও বেকারত্ব হারের মধ্যে যে বিপরীত সম্পর্ক অধ্যাপক আর্থার ওকান তুলে ধরেন তাকে ওকান বিধি বলে ।

১১। সম্ভাব্য GNP কাকে বলে?
উঃ কোনো দেশে প্রাপ্ত মূলধন এবং শ্রম সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করলে যে পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রী তৈরি করা সম্ভব তাকে সম্ভাব্য GNP বলে।

১২। মুদ্রাস্ফীতি কী?
উঃ পণ্যসামগ্রী ও সেবার দামস্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবণতাকে মুদ্রাস্ফীতি বলা হয়।

১৩। গুণকের সংজ্ঞা দাও।
উঃ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুটি চলকের মধ্যে একটির পরিবর্তনের ফলে অপরটির যে কয়গুণ পরিবর্তন হয় তাকেই গুণক বলে।

১৪। CPI কি?
উঃ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পণ্য ও সেবার গড় মূল্যের পরিবর্তনকে পরিমাপ করার সূচক হলো ভোক্তার মূল্য সূচক বা Consumer Price Index CPI.

১৫। স্বয়ম্ভূত বিনিয়োগ কি?
উঃ যে বিনিয়োগ আয়ের উপর নির্ভর করে না কিংবা আয় দ্বারা প্রভাবিত হয় না, তাকে বলা হয় স্বয়ম্ভূত বিনিয়োগ

১৬। পূর্ণ নিয়োগ বলতে কি বোঝায়?
উঃ যে অবস্থায় বা পরিস্থিতিতে কোন দেশে প্রাপ্ত সকল সম্পদ কিংবা উৎপাদনের সকল উপকরণ পূর্ণ দক্ষতার সাথে উৎপাদন কাজে নিয়োজিত হয় তাকে বলা হয় পূর্ণ নিয়োগ অবস্থা ।


১৭। আর্থিক নীতির দুটি উদ্দেশ্য লিখ।

উঃ ১. অর্থের যোগানের হ্রাস-বৃদ্ধির মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি ও ২. মুদ্রা সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করা।

১৮। গ্রেসামের মুদ্রা বিধিটি কি?
উঃ যুক্তরাজ্যের রানি এলিজাবেথের অর্থ উপদেষ্টা স্যার টমাস গ্রেসামের মুদ্রা সম্পর্কিত তত্ত্বকে তাঁরই নামানুসারে ‘গ্রেসামের মুদ্রা বিধি’ বা সংক্ষেপে ‘গ্রেসামের বিধি’ নামে অভিহিত করা হয়।

১৯। ভোগ কাকে বলে?
উঃ ওয়েবসাইট থেকে দেখেনাও।

২০। সামষ্টিক অর্থনীতির তিনটি চলকের নাম লিখ।
উঃ ১. জাতীয় আয়, ২. বিনিয়োগ ও ৩. মুদ্রাস্ফীতি।

২১। GNP ডিফ্লেক্টর বলতে কি বুঝ?
উঃ কোনো নির্দিষ্ট বৎসরের আর্থিক GNP-কে প্রকৃত GNP দ্বারা ভাগ করলে যা পাওয়া যায় তাকে বলা হয় GNP Deflatorl.

২২। অর্থের প্রচলন গতি কি?
উঃ কোনো নির্দিষ্ট সময়ে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ যে গতিতে হাত বদল করে তাকে অর্থের প্রচলন গতি বলে।

২৩। প্রান্তিক ভোগ প্রবণতা কি?
উঃ আয়ের পরিবর্তন দ্বারা ভোগব্যয়ের পরিবর্তনকে ভাগ করলে যা পাওয়া যায়, তাকে বলা হয় প্রান্তিক ভোগ প্রবণতা।

২৪। ছদ্মবেশী বেকারত্ব কাকে বলে?
উঃ যে সমস্ত শ্রমিকের প্রান্তিক উৎপাদনশীলতা শূন্য বা উৎপাদন ক্ষেত্র থেকে যাদের সরিয়ে নিলে উৎপাদন হ্রাস পায় না তাদেরকে ছদ্মবেশী বা প্রচ্ছন্ন বেকারত্ব বলে।

২৫। স্বাভাবিক বেকারত্বের হার কি?
উঃ সম্ভাব্য GDP এবং বাস্তব GDP পরস্পর সমান হলে অর্থনীতিতে বেকারত্বের হার বিরাজ করে তাকে বেকারত্বের স্বাভাবিক হার বলে।

অর্থনীতি ৩য় পত্র সাজেশন ডিগ্রি ২য় বর্ষ (BA, BBS, BSS) ২০২৪

২৬। প্ররোচিত বিনিয়োগ কি?
উঃ যে বিনিয়োগ আয়ের উপর নির্ভরশীল কিংবা আয়ের হ্রাস-বৃদ্ধি দ্বারা প্রভাবিত হয়, তাকে বলা হয় প্ররোচিত বিনিয়োগ।

২৭। অর্থের মূল্য বলতে কি বুঝ ?
উঃ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দ্বারা যে পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্ম ক্রয় করা যায় তাকেই অর্থের মূল্য বলা হয়।

২৮। সে’র বিধিটি লিখ।
উঃ সে’র বিধিটি হলো যোগান নিজেই তার সমপরিমাণ চাহিদা সৃষ্টি করে।

২৯। বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান দু’টি কাজ লিখ।
উঃ ১.আমানত সৃষ্টি এবং ২. ঋণদান।

৩০। মূলধনের প্রান্তিক দক্ষতা কাকে বলে?
উঃ অতিরিক্ত এক একক মূলধন নিয়োগের ফলে যে অতিরিক্ত আয় উপার্জনের প্রত্যাশা করা হয়, তাকে বলা হয় মূলধনের প্রান্তিক দক্ষতা (MEC).

৩১। সামষ্টিক অর্থনীতির তিনটি চলকের নাম লিখ।
উঃ সামষ্টিক অর্থনীতির তিনটি চলকের নাম হলো জাতীয় আয়, বিনিয়োগ ও মুদ্রাস্ফীতি।

৩২। শূন্য সঞ্চয় বিন্দু চিত্রে দেখাও।
উঃ যে বিন্দুতে আয় ও ভোগব্যয় পরস্পর সমান হয়, তাকে বলা হয় ভোগের ক্ষেত্রে ব্রেক ইভেন পয়েন্ট (Break even point) বা সমচ্ছেদ বিন্দু।

৩০। সামষ্টিক অর্থনীতি কি?
উঃ অর্থনীতির যে শাখা অর্থনৈতিক সমস্যা ও অর্থনৈতিক কার্যাবলিকে ব্যক্তিগত বা খণ্ডিত দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা না করে সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করে, তাকে বলা হয় সামষ্টিক অর্থনীতি।

৩৪। মাথাপিছু আয় কি?
উঃ কোনো দেশের জাতীয় আয়কে সে দেশের জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে যে আয় পাওয়া যায় তাকে মাথাপিছু আয় বলে ।

৩৫। শক্তিশালী মুদ্রা কি?
উঃ একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দেশের মোট প্রচলিত মুদ্রা (Currency) এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রক্ষিত অন্যান্য ব্যাংকের রিজার্ভের সমষ্টিকে বলা হয় শক্তিশালী মুদ্রা বা উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন মুদ্রা।

৩৬। একটি দীর্ঘকালীন ভোগ অপেক্ষক লিখ।
উঃ একটি দীর্ঘকালীন ভোগ অপেক্ষক C = by.

৩৭। অর্থের পরিমাণ তত্ত্বের ফিশারীয় সমীকরণটি লিখ।
উঃ অর্থের পরিমাণ তত্ত্বের ফিশারীয় সমীকরণটি MV = PT.

৩৮। বিনিয়োগ গুণকের সূত্রটি লিখ।
উঃ ওয়েবসাইট থেকে দেখেনাও।

৩৯। ত্বরণ কি?
উঃ জাতীয় আয়ের পরিবর্তন দ্বারা প্ররোচিত বিনিয়োগের পরিবর্তনের পরিমাণকে ভাগ করলে যা পাওয়া যায় তাকে বলা হয় ত্বরণ সহগ।

৪০। রাজস্বনীতি কি?
উঃ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, উৎপাদন বৃদ্ধি, নিয়োগ বৃদ্ধি, বেকারত্ব হ্রাস, মূল্যস্তরে স্থিতিশীলতা অর্জন ইত্যাদি উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য সরকার কর্তৃক গৃহীত সরকারি আয়, সরকারি ব্যয় ও সরকারি ঋণ সংক্রান্ত নীতিমালাকে রাজস্বনীতি বলে।

1 thought on “অর্থনীতি ৩য় পত্র সাজেশন ডিগ্রি ২য় বর্ষ (BA, BBS, BSS) ২০২৪”

Leave a Comment