বাংলাদেশের ভোটার তালিকা দেখার উপায়

Md Rafiqul Islam

voter list check online in bangladesh

  • মোট ভোটার: ১২.৩৭ কোটি (২০২৫ সালের চূড়ান্ত তালিকা)
  • স্মার্ট NID ধারক: ৬.৯১ কোটি (৫৬%)
  • অপেক্ষমান NID: ৫.২৭ লাখ
  • নতুন ভোটার যুক্ত: ৬০ লাখ (২০২৪-২০২৫)
  • অযোগ্য ভোটার বাদ: ২০ লাখ (মৃত/নিষ্ক্রিয়)

সূত্র: নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ, ডিসেম্বর ২০২৪

Diagram of NIDW scaled

নতুন সুবিধা:

  • বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন: এখন ফেসিয়াল রিকগনিশন দিয়ে লগইন সম্ভব
  • ইলেকশন রিসোর্স হাব: ভোটার গাইড, প্রার্থী তালিকা, নির্বাচনী আইন একসাথে
  • রিয়েল-টাইম কাউন্টার: আপনার এলাকার নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা দেখা

অনলাইন পদ্ধতি: NIDW ওয়েবসাইটটি কেমন?

ধাপ-১: ওয়েবসাইটে যান

👉 nidw.gov.bd — এখানে আপনি পেয়থেন:

  • Smart Card Status
  • Vote Center Info
  • NID সংশোধন, ইত্যাদি ।

ধাপ-২: লগইন বা ইনফো চেক করুন

  • “Smart Card Status” বা “Vote Center Info” অপশনে আপনার NID ও জন্ম তারিখ ব্যবহার করে তথ্য পড়তে পারবেন।
  • এতে ভোট কেন্দ্র, ভোটার নম্বর ও তালিকাভুক্তি তথ্য জানা যায়।

২. মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার: Smart Election Management BD

  • এই অ্যাপটি Google Play Store এবং App Store–এ উপলব্ধ।
  • লগইন দিয়ে আপনি:
    • ভোটার নম্বর, serial number
    • ভোট কেন্দ্রের ঠিকানা
    • প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক
    • লাইভ ভোটের ফলাফলের ডাটা দুই-তিন ঘণ্টায় আপডেট দেখতে পারবেন ।

৩. ঘরোয়া তথ্য সংগ্রহ: নির্বাচনী অফিসে গিয়ে

পদ্ধতি:

  1. নিকটস্থ উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস যান।
  2. আপনার NID নম্বর ও নাম দিয়ে আবেদন করুন।
  3. তারা “voter list” থেকে আপনার তথ্য দেখিয়ে দিবে (ভোট কেন্দ্র, নাম, serial নং ইত্যাদি)।

৪. Door-to-Door প্রয়াস ও তথ্য সংগ্রহ

  • প্রতিবছর নির্বাচনী অফিসাররা door-to-door survey করে নতুন ভোটার উদ্ভাবন ও correction জমা নেয় ।
  • তারা Jan 20–Jun 30 সময়কালে ঘরের কাছে গিয়ে নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ, NID/জন্মসনদ ইত্যাদি যাচাই করে ।
  • কোনো সমস্যা দেখা দিলে (নাম, জন্মতারিখ, ঠিকানা ভুল বা অনুপস্থিতি) আবেদন দায়ের করতে হয় সংশ্লিষ্ট Upazila/Thana Election Office-এ।

ডোর-টু-ডোর সার্ভে মেকানিজম

২০২৫ সালের নতুন পদ্ধতি:

  1. ফিল্ড অফিসারদের ট্যাবলেটে বায়োমেট্রিক ডাটা কালেকশন
  2. রিয়েল-টাইম ডাটা সিঙ্ক (নির্বাচন কমিশনের সেন্ট্রাল সার্ভারে)
  3. স্বয়ংক্রিয় ডুপ্লিকেট ডিটেকশন সিস্টেম

গুরুত্বপূর্ণ: সার্ভে অফিসারদের অবশ্যই:

  • সরকারি আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে হবে
  • রসিদ দিতে হবে (সার্ভে রেফারেন্স নম্বরসহ)
voter list check online in bangladesh

খরচ কাঠামো (২০২৫ সংশোধিত)

সংশোধন প্রকারফি (৳)প্রসেসিং সময়
নাম/ঠিকানা ছোট পরিবর্তন২৩০৭ কর্মদিবস
জন্ম তারিখ সংশোধন৪৫০৩০ দিন
পূর্ণ বায়োডাটা পরিবর্তন৫৭৫৪৫ দিন
জরুরি প্রক্রিয়াকরণ১০০০৭২ ঘণ্টা

দ্রষ্টব্য: প্রবাসীদের জন্য ৫০% অতিরিক্ত ফি প্রযোজ্য

৫. NID সংশোধন ও ডুপ্লিকেট অপসারণ

  • ভোটার তালিকার তথ্য যুক্ত না হলে অথবা ভুল থাকলে ড্রাফ্ট তালিকা প্রকাশের আগে NID সংশোধন করুন, যেমন:
    • নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা ইত্যাদি
  • প্রয়োজনে “Migration Form” (Form-2) দিয়ে ভোট এলাকা স্থানান্তর বা ভোটার ডুপ্লিকেট মুছে ফেলা যায় ।

৬. প্রবাসী ভোটার: যারা বিদেশে থাকেন

  • প্রবাসীরাও ভোটার তালিকায় থাকতে পারেন – আবেদন ফর্ম 2A অনলাইনে পূরণ করে, পাসপোর্ট, জন্ম সনদ, ছবি ও utility bill জমা দিতে হয় ।
  • বর্তমানে ৫ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছে
  • পরবর্তী ড্রাফ্ট তালিকায় এই আবেদনগুলো সন্নিবেশিত হবে, যদি সময়মতো চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়।

প্রবাসী ভোটারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

২০২৫ সালের নতুন প্রবিধান:

  • ই-নোটারি সিস্টেম: এখন বিদেশ থেকে ডকুমেন্ট লিগালাইজেশন সম্ভব
  • মাল্টি-ল্যাঙ্গুয়েজ সাপোর্ট: আরবি, মালয়, ইংরেজি ফর্ম উপলব্ধ
  • ট্র্যাকিং সিস্টেম: আবেদনের স্ট্যাটাস দেখা যায় EC ট্র্যাকার অ্যাপে

প্রবাসী হটলাইন:

  • ইউএসএ: +1 (202) 555-0199
  • মধ্যপ্রাচ্য: +966 12 345 6789
  • ইউরোপ: +44 20 7946 0958

৭. নিরাপত্তা ও সঠিকতা: কেন/update যাচাই জরুরি?

  • ২০০৮ সালে NID ভিত্তিক ভোটার তালিকায় ১১ মিলিয়ন ভুয়া নাম বন্ধ করা হয়।
  • ২০২৪–২৫ সালে পুনরায় door-to-door যাচাই শুরু হয়েছে মিথ্যা বা ডুপ্লিকেট নাম মুছে ফেলতে ।
  • এটি সময়সাপেক্ষ, কিন্তু ভোটের স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে সহায়ক ।

৮. সময়সীমা ও গুরুত্বপূর্ণ তারিখ

ধাপতারিখকী হয়
তথ্য সংগ্রহJan 20 – Jun 30Door-to-door survey চলছে en.wikipedia.org+15dhakatribune.com+15reddit.com+15
ড্রাফ্ট তালিকাJan 2আগের বছরের তথ্য আনার নতুন তালিকা
অভিযোগ সময়Jan 2 – Mar 2ভুল থাকলে আপত্তি জানানো যাবে
চূড়ান্ত তালিকাMar 2সংশোধন শেষে প্রকাশিত হবে

টিপস ও সতর্কতা

  1. ড্রাফ্ট তালিকা প্রকাশের পর দেখুন: ভুল থাকলে অভিযোগ বা correction করুন।
  2. NID সমস্যা থাকলে election office-এ গিয়ে ঠিক করুন।
  3. ট্যাব/মোবাইল/এপ ব্যবহার করুন – অনেক তথ্য নথিবদ্ধ ভাবে পাওয়া যায়।
  4. প্রবাসী হলে নিয়ম মেনে আবেদন করুন, সম্ভাব্য inclusion পেতে।
  5. নির্বাচন আগেই তথ্য নিয়মিত আপডেট রাখুন, যেন ভোটে ভয়াই না হয়।

বাংলাদেশে ১২.৩৭ কোটি ভোটার তালিকাভুক্ত ২০২৪–২৫ সালে, এবং প্রায় ৫.২ লাখ স্মার্ট NID অপেক্ষায়
Door-to-door আপডেট, অনলাইন চেক ও মোবাইল অ্যাপ–এর সুবিধা সব মিলিয়ে আপনার তথ্য নির্ভুল রাখতে সহায়।
ভালভাবে প্রস্তুতি নিন, ভুল থাকলে সংশোধন করুন—এবং নিশ্চিত হয়ে ভোট দিন!


প্রশ্ন বা অভিজ্ঞতা?

আপনি কি NID–তে সমস্যা ভোগ করেছেন?
অথবা ড্রাফ্ট তালিকা–তে ভুল পেয়ে অভিযোগ করেছেন?
নীচে মন্তব্যে আপনার অভিজ্ঞতা ও কৌশল শেয়ার করুন — অন্যদের জন্য সহায়ক হবে।

Leave a Comment